Thursday, 11 May 2017

বসন্ত


বসন্ত

.
শীতের কটাক্ষ আর নেই এখন,
রোদের উঠোনে বসন্ত বাতাস
সবুজ শাড়ির ভেতর উঁকি দিলে যৌবন--
চোখে মুখে মুকুলের হাসি।
.
আকাশের নীল রঙা ঘর,
দেউলিয়া বাতাসের মনে জলীয় অনুভব,
ছুটে আসে পরিযায়ী পাখি,
মনের বেতার যন্ত্রে আবহাওয়ার খবর--
বসন্ত এসেছে।
.
আকাশের নীল রঙা ঘরে মেঘের ভিড়
আনাচে- কানাচে সূর্যের গোপন উঁকি
ঋতুর আঙুল এই বুঝি ছুঁয়ে দেবে যৌবন !



অভীক কুমার দে

স্পর্শকাল


স্পর্শকাল

.
শব্দ হতে হতে শব্দ- বন্ধনীতে যে তরঙ্গখেলা
তার মধ্যস্থলে হিসেবের সমাকর্ষণ,
আমি বিন্দুতে নিঃশ্বাস জমা করি,
যদি বা ঘনত্বের চাপে ব্যবধান আসে শব্দে...
.
কাঠঠোকরার খটাখট শব্দে কাঠিন্যের মাত্রা যেমন বোঝা যায়,
বোঝা যায় দৈতাকার গাছের অসহায়ত্ব,
সহ্যের সীমা থেকে শব্দের শেষ ঘর
কতটাই বা দূরত্বে...
.
পরপর আঘাতের পর শব্দেরা তীব্রতা আর দূরত্ব চেনে,
মনে হয় প্রতিবারের অসুস্থতায়
দিন- রাতের আট- প্রহর কাটে না শুধু,
কাটে সুখ, বয়স আর জীবনের স্পর্শকাল।


অভীক কুমার দে

আহবান

____আহবান___
মশাল হাতে হে যুবদল এগিয়ে চলো
চেতনগুলো উদ্গিরিয়ে নিজেই জ্বলো
হোক প্রতিবাদ আগুন লড়াই
রাজ হায়েনা নাইবা ডরাই
আচ্ছে দিনের দুখের গাঁথা এবার বলো।

পথের মাঝে তোমার আমার রক্ত ঝরে
রাজার দালাল এই খুশিতে নৃত্য করে
অস্ত্র হাতে বানর সেনা
লুটায় শত হাসনাহেনা
দিন দুপুরে আঘাত হানে আমার ঘরে।

বললে কিছু,লিখলে কিছু মনের শোকে
রাজার সেনা দিচ্ছে আবার মামলা ঠুকে
আচ্ছে দিনের আজব নীতি
কথায় কথায় দেখায় ভীতি
সেই ভয়েতে লুকায় শিশু মায়ের বুকে।

এবার বন্ধু সময় হলো জবাব দেবো
গর্জে উঠে সারা ভারত বদলা নেবো
ঐ চলে যায় সময়ঘড়ি
আয়রে যুবা লড়াই করি
মোদের ঘরে হামলা দেবে,রাজা কে ও?

_______________________________
আব্দুল হালিম
22.03.2017

গরাদ

গরাদ
গরাদ ভাঙা নয়তো সোজা
বেষ্টনীতে শুধুই খোঁজা।
তাকিয়ে দেখি সীতার গন্ডী
মাথায় থাকে তালিবানি ফন্দী।
উড়ুক পাখি ফুরুত পাখি
স্বেচ্ছাচারিতার জলছবি আঁকি।
যতই মুখে বুলি কপচাই
গারদ ভেঙে আগল সামলাই।
উড়ছে আকাশ পুড়ছে আকাশ
লাগছে পায়ে গন্ডি
খোলসের পরে খোলস পোড়ে
লাগায় শুধু দন্ডি।


                                                  ..................অনিন্দিতা সেনগুপ্তা 

আঁচড়


আঁচড়

.
পাহাড়ের দুধ- সাদা উপন্যাসের মায়াবী রূপ দেখে
রূপকথার বিন্যাসে অনুভবের শিশু ঘুমায়;
'আমি' জেগে আছি জেগে থাকা অভিনয়ে...
.
জানি, আমার ভেতরও শিশুঘুম 
ঘুম ভাঙলে পাহাড়ি ঢাল হয়ে ছিঁটকে আসা ঝর্ণার মতই 
আঁচড় কাটবে বাস্তব;
অথচ কাঁচা পলিবুকে তখনও নিশ্চিত প্রভাত ছিল !
অবশেষে অবশেষটুকুই গায়ে মাখামাখি।
.
কালের উত্তাপে সাদা আভরণ গলে মুছে গেলে রূপ
পাহাড়ের কোলে হৃদের বাষ্প- কান্না হাঁড় ছোঁয়,
কুয়াশা ব্যথায় ভিজে যাই আমি;
শিশির জল মনের সেতুপথে আবার খোঁজে--
শিশুঘরের শৈশব।


............................অভীক কুমার দে

ধর্ম,তোমার প্রতি

ধর্ম,তোমার প্রতি
-----------------------

ধর্ম! তুমি কোথায় থাকো?
মন্দিরে না মসজিদে।
নাকি থাকো দূর্গাপূজায়-
বা কখনো দুই ঈদে।

তোমায় কভু খোঁজে বেড়াই-
লাল শালুটা গায় দিয়ে।
হাতের মুঠোয় ত্রিশূল টেনে-
রক্ত নেশার সায় দিয়ে।

কভূ আবার ধার তলোয়ার-
ধরে হাতের কব্জিতে;
মানব রক্তের চচ্চড়ি খাই-
ফনিমনসার সব্জিতে।

তোমার খোজে রেস্টুরেন্টে-
ধ্বংস যজ্ঞের বোম ফোটাই।
কোথাও আবার গো-মাংসতে-
আখলাকদের প্রান লুটাই।

কোথাও ব্যাক্তি রসরাজের-
ফেবুর কোন মন্তব্যে;
বুক ফুলিয়ে হামলা চালাই-
পৌঁছাই ওদের গন্তব্যে।

কভূ আবার গোধরা কান্ড-
বেষ্ট বেকারীর তাজাখুন-
আবার কভু বাবরি মসজিদ-
রাম রাজ্যের প্রলয় ধোন।

এতসব কিছু করার পরেও-
পাইনা খোঁজে তোমার দিশ।
ধর্ম,তুমি কি সত্যিই আছো?
না, সবটাই নোংড়া বিষ!

_____________________

বৈশাখী প্রথম বৃষ্টি আজ


বৈশাখী প্রথম বৃষ্টি আজ
মনটা হারিয়ে গেল
সোনালী কৈশোরে
সেইসব স্মৃতিময়তায়
যেখানে তোমার শরীরী গন্ধ
আজো জীবন্ত স্মৃতিপটে
এটা কি নষ্টালজিয়া
আচ্ছা নষ্টালজিয়ায় কি সুখ আছে--?
ভাবনাগুলো কখন কি রঙে
ঝড় তুলে তা কখনো কেউ অনুমান
করতে পেরেছে কেউ কি--?
প্রথম ভালবাসার কথা মনে আসা
আর মৃত মানুষের কবরে বসে
অঝোড়ে কান্নাকাটি করা
একই কথা মনেএলো আমার
হায়রে আমার হারিয়ে যাওয়া
অবেলা! বেদনার্ত কষ্টগাঁথা
মধুর স্মৃতির মিনারে যেন
এখনো দাড়িয়ে আছি।
-------------------
মহিউদ্দীন সাদেক।
১৯/০৪/২০১৭।
রাত : ১১ টা ৪০ মিনিট।
চিটাগাং।

বসন্ত

বসন্ত . শীতের কটাক্ষ আর নেই এখন, রোদের উঠোনে বসন্ত বাতাস সবুজ শাড়ির ভেতর উঁকি দিলে যৌবন-- চোখে মুখে মুকুলের হাসি। . আকাশ...